গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় গাইবান্ধায় মেহেদী হাসান নামে এক যুবকের পৃথক দুটি মামলায় ৪৬ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী তার খালার সাথে ২০১৮ সালের ৭ এপ্রিল পলাশবাড়ি উপজেলার খামার জামিরা গ্রামে বেড়াতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ওই এলাকার বখাটে যুবক মেহেদী হাসান ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেলযোগে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারা মেয়েটিকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে আটকে রেখে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।
পরে ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এক পর্যায়ে আসামি মেহেদী হাসান জামিন নিয়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে সে পলাতক আছে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি একে এম মহিবুল ইসলাম মোহন বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ধর্ষণের অপরাধে মেহেদী হাসানের ৩২ বছর এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছরসহ মোট ৪৬ বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তার পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন