৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ২২:৫৬

স্কুল পাসের সার্টিফিকেট নিতে প্রধান শিক্ষককে আওয়ামী লীগ নেতার মারধর

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

স্কুল পাসের সার্টিফিকেট নিতে প্রধান শিক্ষককে আওয়ামী লীগ নেতার মারধর

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা কেএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরু নবীকে চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মহন জোয়ার্দ্দার। তিনি কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামনেই চড়-থাপ্পড় মেরে গলায় ধাক্কা দিয়ে এভাবেই লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই বিদ্যালয়টির অফিস কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়টির অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা মহন জোয়ার্দ্দার তার নিজের জন্য অষ্টম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট নিতে বিদ্যালয়ে আসেন। খাতায় তার নাম রয়েছে আল-আমীন কিন্তু তিনি মহন জোয়ার্দ্দার নামে সার্টিফিকেট নিতে চান। নামের মিল না থাকায় সার্টিফিকেট দিতে প্রধান শিক্ষক অপারগতা জানালে আমাদের সামনেই চড়াও হয়ে প্রধান শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মেরে গলায় ধাক্কা দিয়ে এভাবেই লাঞ্ছিত করেন তিনি। আমরা তার কঠোর শাস্তির দাবি করছি।

ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক নুরু নবী জানান, মহন জোয়ার্দ্দার এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ছিলেন। আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে এসে তার নিজের জন্য অষ্টম শ্রেণির পাসের সার্টিফিকেট নিতে আসেন। তিনি এই বিদ্যালয় থেকেই এসএসসি পাস করেছিলেন। খাতায় তার নাম রয়েছে আল-আমীন কিন্তু তিনি মহন জোয়ার্দ্দার নামে সার্টিফিকেট নিতে চান। নামের মিল না থাকায় সার্টিফিকেট দিতে অপারগতা জানালে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমাকে চড়-থাপ্পড় মেরে গলায় ধাক্কা দেয়। হুমকি দেয় দেখে নেওয়ার। বিষয়টি বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি শামসুর নাহারকে জানিয়েছি। আমি তার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা মহন জোয়ার্দ্দার বলেন, আমি ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ছিলাম। পড়াশোনাও করেছি ওই প্রতিষ্ঠানে। এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট হারিয়ে যাওয়ায় ডাইভিং লাইসেন্সের জন্য অষ্টম শ্রেণির পাসের সার্টিফিকেট নিতে গেলে এমন ঘটনা ঘটে। তবে প্রধান শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মারার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামসুর নাহার বলেন, মারধরের ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানানো হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর