ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের পূর্বমুড়া গ্রামে স্ত্রীকে নিয়ে সাবেক ও বর্তমান স্বামীর মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে সাবেক স্বামীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এর মধ্যে
সাবেক স্বামী রমেন বিশ্বাসও (৪৫) রয়েছেন। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্বমুড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী রমেন বিশ্বাসের স্ত্রী দুই সন্তানের জননীকে তিন মাস আগে একই গ্রামের রবিন বিশ্বাসের ছেলে নিতাই বিশ্বাস (৩২) পরকীয়ার প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। বিয়ের প্রায় ২০ দিন পর গত অক্টোবর মাসে তাদের ফিরিয়ে এনে এক শালিস বৈঠক বসে এলাকায়। ওই শালিসে রমেন বিশ্বাসের স্ত্রী তার পরের স্বামী নিতাই বিশ্বাসের সঙ্গে সংসার করার সিদ্ধান্ত নেন। তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শালিস বৈঠকেও সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্প্রতি রমেন বিশ্বাস দেশে ফিরে এলে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিরোধ শুরু হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রমেনের বাবা রতন বিশ্বাস বাড়ির পাশে তেতুলিয়া মাদরাসার মোড়ে দোকানে এলে নিতাই বিশ্বাসসহ তার লোকজন হামলা চালায়। খবর পেয়ে রতন বিশ্বাসের ছেলে রমেন বিশ্বাস, বিপ্লব বিশ্বাস, পৌড় বিশ্বাস এগিয়ে গেলে তাদের মারধর করে আহত করেন এবং দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে রতন বিশ্বাস (৬০) রমেন বিশ্বাস (৪৩), বিপ্লব বিশ্বাস (৩৪) ও পৌড় বিশ্বাস (৩৩) মারাত্মক আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ফরিদপুর রেফার্ড করা হয়। ফরিদপুর থেকে চারজনের মধ্যে রমেন বিশ্বাসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
রুপাপাত ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. জাফর ফকির বলেন, তিন মাস আগে নিতাই বিশ্বাস প্রতিবেশি রমেন বিশ্বাসের স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায়। এ নিয়ে একবার শালিস বৈঠক হয়। সেই স্ত্রী নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, মারামারিতে আহত চারজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
