বগুড়ায় হিমালয়ী গৃধিনী প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার হয়েছে। শনিবার রাতে জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ফসলের মাঠ থেকে শকুনটি উদ্ধার করেছে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর)।
জানা যায়, শনিবার রাতে জেলার নন্দীগ্রামের বড়ইহাট ইউনিয়নে মুরাদপুর গ্রামে ফসলের জমিতে হঠাৎ একটি বড় আকৃতির পাখি নামতে দেখে গ্রামবাসী। কৌতূহলবশত গ্রামের তরুণরা এটিকে আটক করে। গ্রামে প্রবীণরা এটিকে শকুন হিসেবে জানালে অনেকেই কুসংস্কারের কবলে মেরেও ফেলতে চায়। কিন্তু স্থানীয় কিছু সচেতন যুবক বিষয়টি সরকারি হেল্প লাইনে অবগত করলে ‘বন বিভাগ’র পরামর্শে শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন তীরের সরকারি আজিজুল হক কলেজের একটি দল এটিকে উদ্ধার করে।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম ইকবাল জানান, এটি ‘হিমালীয়ান গৃধিনী’ শকুন জাতের পাখি। শকুন হচ্ছে প্রকৃতির ঝাড়ুদার। শকুন বড় ডানার বৃহদাকার পাখি, মৃত ভক্ষণকারী পাখি। শকুনই একমাত্র প্রাণী, যারা রোগাক্রান্ত মৃত প্রাণী খেয়ে হজম করতে পারে এবং অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা, খুরারোগের সংক্রমণ থেকে জীবকূলকে রক্ষা করে।
তীরের সভাপতি রিফাত হাসান জানান, হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বছরের এই সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে এদেশে আসে এই শকুন। পথেই ক্লান্ত ও খাদ্যাভাবে দুর্বল হয়ে বিভিন্ন এলাকায় শুকুনগুলো নেমে পড়ে। এসময় এদের উদ্ধার ও বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। প্রতি বছরেই ‘তীর’ সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে শকুন উদ্ধারের কাজে বন বিভাগকে সহায়তা করে। এ বছরে ইতিমধ্যে তিনটি শকুন উদ্ধার করেছে ‘তীর’ সদস্যরা। তীর সকল বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বন বিভাগর পরামর্শে শকুনটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই