মহান বিজয় দিবসে বগুড়ায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার সকালে শহরের টেম্পল রোড দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর এ ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনায় দলীয় কার্যালয়সহ পুরো সাতমাথা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে কর্মসূচি পালন করতে সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। এসময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা জাতীয় পতাকাসহ দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলন শেষে জেলা ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা শ্লোগান শুরু করেন। এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ তাদের পক্ষের নেতাকর্মীরা শ্লোগান শুরু করলে পদ বঞ্চিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুরো সাতমাথা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার পর বেলা সাড়ে ৯টায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক জয়সহ নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ কার্যালয়ের তালা ভেঙে প্রবেশ করে। প্রায় দেড় মাস পর তারা কার্যালয় বন্ধ থাকার পর তালা ভেঙে তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। তারা কিছুক্ষণ পর কার্যালয় ত্যাগ করলে আবারো তালা ঝুলিয়ে দেয় কাঙ্খিত পদ না পাওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় আবারো তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের পক্ষের নেতাকর্মীরা। এসময় ঘটনায় আইন শৃংখলাক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকেই সাতমাথা এলাকা জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করে।
এরআগে গত ৭ নভেম্বর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর কাঙ্খিত পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর থেকেই ছাত্রলীগের কার্যালয় তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা জানান, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটনের নেতৃত্বে মহান বিজয় দিবসে আমাদের সাথে হাতাহাতি ও ধাওয়া করা হয়। তারা এমন ঘটনা ঘটাবে আমরা তা জানতেও পারিনি। জেলা যুবলীগ সভাপতি ও সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীরা ছাত্রলীগের রাজনীতি বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের নির্দেশে দুর্বৃত্তরা ছাত্রলীগ অফিস তালাবদ্ধ রেখেছিল। ছাত্রলীগের স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্যই আজ আমি ও সাধারণ সম্পাদক তালা খুলে প্রবেশ করেছি। আজ দলীয় কার্যলয়ের সামনে যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বেই হামলা করা হয়েছে।
সজীব সাহা আরো বলেন, আমি ও সম্পাদক জয় ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রধানমন্ত্রীর আদর্শে রাজনীতি করি। দুর্বৃত্তরা বার বার রাজনীতিতে সংঘাত তৈরির চেষ্টা করছেন।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা জানান, সকাল থেকে পুরো শহর জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশী টহল চলছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল