উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয় অধিবাসী ও রোহিঙ্গাদের জনজীবনের বিভিন্ন সেবা সুবিধা ও সচেতনায় ইএমসিআরপি শীর্ষক সাংবাদিক অভিহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কক্সবাজার শহরে অভিহিতকরণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিসিসিপির উপ পরিচালক আবু হাসিব মোস্তফা জামালের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিপাদা দেওয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এলজিইডির বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়ণ প্রকল্পের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হাসিম রেজা, বিশ্বব্যাংকের ফিল্ড রেসিডেন্স ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল কবির, এলজিইডির ইএমসিআরপি প্রকল্পের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ মেহবুব আলম বর্ণ প্রমুখ।
কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। যা এই দুই উপজেলার সীমিত সম্পদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এই মানবিক সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংকের অনুদান সহায়তায় 'জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প (ইএমসিআরপি)' হতে বিভিন্ন সেবা সুবিধা সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ করছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২টি উপজেলার স্থানীয় অধিবাসী ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সেবা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষা ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান আছে।
বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধিনস্থ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে গভীর নলকূপ স্থাপন ও নিরাপদ পানি সরবরাহ, পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্ল্যান্ট নির্মাণ, সৌরবিদ্যুৎ, বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র নির্মাণ, জেটি নির্মাণ, রাবার ড্যাম স্থাপন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ ইত্যাদি। এসব সেবাসমূহের যথাযথ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ খুবই জরুরি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল