কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিনাজপুরে অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। সকালে দূর পাল্লার পরিবহনগুলো শীতের পাশাপাশি ঘনকুয়াশায় বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলেছে গাড়ি। কৃষিসহ সবক্ষেত্রেই পড়েছে এর প্রভাব। দোকানপাট খুলেছে বেলা ১১টার পর।
শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হলেও কাজ পাচ্ছে না দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে। বিভিন্ন স্থানে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সূর্যের দেখা মিললে এর উত্তাপ ছিলনা। শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি কনকনে শীতল বাতাসে ছিন্নমুলের মানুষ ছাড়াও প্রান্তিক চাষীরা মাঠে কাজ করতে পারছেনা। কৃষকরা বোরো বীজতলা নিয়ে আশংকায় রয়েছে। আবার তীব্র শীতে ইরি-বোরোর চারা রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের দিতে হচ্ছে বেশি টাকা। এতে বেড়েছে খরচ।
এদিকে, বুধবার দিনাজপুরে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯১ শতাংশ বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
নশরতপুরের রফিকুল ইসলাম বলেন, কনকনে শীতের কারণে কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বীজতলা কুঁকড়ে যাচ্ছে। আলুর পরিচর্যা করা যাচ্ছে না। গরু ছাগলকে চটের বস্তা দিয়ে ঝুল বানিয়ে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরকম শীত চলতে থাকলে বোরো চারা রোপণ কিছুটা দেরিতে শুরু করতে হবে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, কয়েকদিন ধরে বাতাসের আদ্রতা ও গতি বাড়ায় এবং ঠিকমতো সূর্য না ওঠায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। বুধবার দিনাজপুরে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম