গাজীপুরে শিশু সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার বাবার বিরুদ্ধে। এসময় নিহতের বাবা ব্লেড গিলে খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবাকে আটক করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। শনিবার বিকেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন পূর্ব এনায়েতপুরের সবুজ কানন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম- তামান্না (৮)। সে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানাধীন নন্দনপুর এলাকার তরিকুল ইসলামের মেয়ে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার এস আই নাহিদ আল রেজা ও এলাকাবাসী জানান, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে কাজের সন্ধানে গ্রামের বাড়ি থেকে স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে গাজীপুরে আসেন তরিকুল ইসলাম। এ দম্পতি নিজেদের সাড়ে তিন বছরের অপর সন্তানকে গ্রামের বাড়ি রেখে আসেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন পূর্ব এনায়েতপুরের সবুজ কানন এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকুরি নেন তরিকুল ও তার স্ত্রী নাদিরা। নানা কারণে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন তরিকুল। প্রতিদিনের মতো শনিবার ৮ বছরের শিশু সন্তান তামান্নাকে বাসায় রেখে কর্মস্থলে যান নাদিরা। তবে এদিন তার স্বামী কর্মস্থলে যান নি। স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে দুপুরে তরিকুল বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে তার ৮ বছরের সন্তান তামান্নাকে হত্যা করে। পরে সে ব্লেডের টুকরো গিলে খেয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে বিকেলে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে। এসময় গুরুতর আহতাবস্থায় শিশুটির ঘাতক পিতাকে আটক করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য শিশুটির লাশ সন্ধ্যায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, তরিকুল ব্লেড গিলে খাওয়ায় কথা বলতে পারছেনা, তবে হাত দিয়ে লিখে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কি কারণে তরিকুল এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম