গত এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। রবিবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তাপমাত্রা কমা বাড়ার মধ্যেই চলছে শীতের দাপট। এ অবস্থায় এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
শীতকষ্টে উত্তরের এ জনপদের মানুষ রয়েছেন। দিন যতই যাচ্ছে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুরাও পড়েছে চরম কষ্টে। ইতোমধ্যে কুিড়গ্রাম জেলার এক হাজার মুরগীর খামারে প্রায় ৫ হাজার মুরগীর বাচ্চা মারা গেছে বলে জানা গেছে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জেলা কুড়িগ্রামে ৪০৫টি চর-দ্বীপচর রয়েছে। এসব চরাঞ্চলের গ্রামগুলো ধরলা,তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর তীরবর্তী হওয়ায় এখানে ঠান্ডার তীব্রতা অনেক বেশী। বিশেষ করে নদী পাড়ের মানুষরা চরম কষ্টে রাত্রি যাপন করেন।এসব এলাকার মানুষ পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ঠান্ডায় রাত যাপন করেন। প্রতিদিন প্রচন্ড ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এসব এলাকার শিশু ও বৃদ্ধরা। সকালে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় কাজে যেতে পারেন না শ্রমজীবি মানুষরা।শহরের ফুটপাতে গরম কাপড়ের দাম দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। সন্ধ্যার পর অতিরিক্ত ঠান্ডায় গোটা শহর একদম ফাঁকা হয়ে যায়। তীব্র শীতের কারণে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, হাপানি,জ¦র ও সর্দির প্রকোপ বেড়েছে।
হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। জেলার হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী।
বিডি প্রতিদিন/এএম