অনিয়ম-দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে বগুড়ার শেরপুরে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির অপসারণ দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন একই কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
সমাজসেবক উজ্জল সরকার বাবুর সভাপতিত্বে ওই কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আইয়ুব আলী, আলতাব হোসেন সরকার বিপ্লব, আছাব উদ্দিন, রাসেদুল ইসলাম রুবেল, অভিভাবকদের মধ্যে লিয়াকত আলী সরকার, ফরহাদ হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান মজনু, সমাজসেবক আব্দুর রাজ্জাক, কবির হোসেন, কামাল হোসেন, মোছা. মাজেদা বেগম ও বাবু পাল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের নিশিন্দারা দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ সেখ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে মেতে উঠেছে। সেইসঙ্গে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া মাদ্রাসার সম্পদের ক্ষতিসাধনসহ অর্থ আত্মসাতের ঘটনাও ঘটিয়েছে। প্রতিবাদ করলেই কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের ভয়ভীতিসহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় সদস্য আলতাব হোসেন ও রুবেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি অফিস কক্ষে তাদের জিম্মি করে রেজ্যুলেশন খাতায় স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
আর এসব কাজে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন ওই মাদ্রাসার সুপার শহিদুল ইসলাম। তাই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ থেকে তাকে অপসারণসহ ওই দুই সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় দেওয়া অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জোর দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে। পাশাপাশি তার সহযোগী মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তপূর্বক এমপিও বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি করেন বক্তারা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল আজিজ সেখ বলেন, এসব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে হেরে যাওয়া ব্যক্তিদের ইন্ধনে এসব কাজ করা হচ্ছে। যাতে করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায়। কারণ স্বাক্ষর করার কথা বলে ওইসব সদস্যরা মাদ্রাসার রেজ্যুলেশন খাতাসহ গুরুত্ব কাগজপত্র নিয়ে আটকে রেখেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাদ্রাসা সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, কমিটি গঠন নিয়ে বিগত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বর্তমান কমিটির সভাপতির বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করা হচ্ছে। এমনকি নির্বাচিত সভাপতির অপসারণ দাবি করে মানববন্ধনসহ ওইসব ব্যক্তিরা অহেতুক আন্দোলন করছে। এছাড়া সভাপতির বিরুদ্ধে করা তাদের অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন বলেও মন্তব্য করেন মাদ্রাসা সুপার।
বিডি প্রতিদিন/এমআই