বগুড়ার ধুনটে তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রাক্তন স্বামী ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বৃদ্ধসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃত দুইজন হলেন শরিফ মিয়া (৩২) ও সামাদ আলী (৬০)। গত বৃহস্পতিবার রাতে ধুনটের তারাকান্দি গ্রাম থেকে শরিফ মিয়াকে এবং শেরপুর শহর এলাকা থেকে সামাদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, শরিফ মিয়া ধুনট উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে। প্রায় ১১ বছর আগে প্রতিবেশী বাবলু মন্ডলের মেয়ে মৌসুমি আক্তার সুরভীকে (২৫) বিয়ে করেন। তাদের ৮ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। শরিফ ৬ মাস আগে তার স্ত্রী সুরভীকে তালাক দেন। বৃহস্পতিবার রাতে শরিফ সুরভীর বাবার বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় সুরভির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে শরিফকে আটক করে রাখে। থানা পুলিশ রাতেই শরিফকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে সুরভি বাদি হয়ে তার প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে গত ২৬ জানুয়ারী উপজেলার স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী (১০) বাড়ির পাশে লাকড়ি (খড়ি) কুড়াতে যায়। এ সময় তাকে একা পেয়ে পান খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বৃদ্ধ সামাদ আলী। সামাদ আলী ধুনট উপজেলার বড়বিলা গ্রামের আফছার আলীর ছেলে। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষ সমঝোতার চেষ্টা হয়। এ ঘটনার ১৩ দিন পর গত বুধবার সকালে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেলে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সামাদ আলীকে আসামী করে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, গ্রেফতার হওয়া আসামিদের পৃথক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম