নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা ডুবন্ত বাঁধের নির্মাণ ও মেরামত কাজের অগ্রগতি নিয়ে জেলা কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাঁধ সংশ্লিষ্ট সাত উপজেলার নির্বাহীগণ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং জেলা মনিটরিং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহানের সঞ্চালনায় জেলা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ সভার সভাপতিত্ব করেন।
এসময় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল বাঁধের মাটি কাটার কাজ সম্পন্ন করার করাকারি নির্দেশ দেন ডিসি। সেইসাথে পূর্বের কাজের বকেয়া টাকা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরিশোধ করতে নির্দেশ দেন। এসময় চলমান মোট ২০২টি পিআইসির কার্যক্রমের সমস্যা এবং অগ্রগতি উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট ইউএনও ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
জেলার খালিয়াজুরী ১১১ টি, মদনে ২৪ টি, মোহনগঞ্জে ২৫ টি, কলমাকান্দায় ২৬ টি, বারহাট্টায় ১০ টি পূর্বধলায় ৪ টি ও আটপাড়ায় ২ টি পিআইসির সার্বিক পর্যালোচনা উপস্থাপন করে আলাদা আলাদা উপজেলা ভিত্তিক শতকরা কাজের মান নির্নয় করতে আগামী ২৬ ফেব্রæয়ারী একটি সভা ডাকা হয়।
এদিকে সভায় মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাজ আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সমাপ্ত হওয়ার কথা জানালেও খালিয়াজুরী উপজেলার কাজের অগ্রগতি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। খালিয়াজুরী কীর্ত্তণখলা বাঁধে ৩৫ ভাগ কাজ হয়েছে। পানি না সরায় কাজের অগ্রগতি তেমন হচ্ছে না। তবে ধনু নদীর পর থেকে সদরের মেন্দিপুর ইউনিয়নের কার্যক্রমে মাটি ফেলায় ৬২ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে।
এছাড়াও আটপাড়া উপজেলায় দুইটি পিআইসির মধ্যে একটি কমিটির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে বন্ধ থাকা কাজ করার জন্য নতুন কমিটি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট সকল ইএনও এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাাদের বাঁধ নির্মাণ এবং মেরামতে শতভাগ পরিছন্ন থেকে আন্তরিকতার সাথে কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। পাশাপাশি কাজের বরাদ্দের টাকা সুষ্ঠুভাবে পরিশোধ করতেও তিনি সকলের প্রতি আহ্বান রাখেন। সেইসাথে প্রতিনিয়ত মনিটরিং রাখার জন্যও তাগিদ দেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম