ঝিনাইদহ শহরে প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শম্পা খাতুন নামের এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের টাকা দেওয়া হয়েছে মৃতের আত্মীয় পরিচয়দানকারী এক পল্লী চিকিৎসককে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় নেওয়ার পথে ওই নারীর মৃত্যু হয়। শম্পা খাতুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের কামতা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল হান্নানের স্ত্রী। তবে নিহত শম্পা খাতুন তিন মাসের গর্ভবতী ছিল বলে জানা গেছে।
স্বজনরা জানায়, পিত্তথলির পাথর অপারেশনের জন্য সোমবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরের আল-ফালাহ হাসপাতালে ভর্তি হয় সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের শম্পা খাতুন। রাতে ওই রোগীকে অজ্ঞান করেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার মনজুরুল ইসলাম। এপরপর অপারেশন করেন মাগুরা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক জাহিদুর রহমান। অপারেশনের পর সকাল পর্যন্ত ওই রোগীর জ্ঞান না ফেরায় তড়িঘরি করে ঢাকায় রেফার্ড করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুর পর রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল ঘেরাও করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে মৃতের ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। অপারেশনের পর দীর্ঘ সময় পার হলেও তার আর জ্ঞান ফেরেনি। পরে চিকিৎসককে জানালে দ্রুত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয়। এর কিছু সময় পর ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যায়। আমার একটি ভাগ্নে আছে।
আল-ফালাহ হাসপাতালের স্বত্তাধীকারী মুন্সী কামাল আজাদ পান্নু বলেন, রোগীটির অপারেশনের পর স্ট্রোক করেছিল। এই জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা তাদের ঢাকায় পাঠাই। ঢাকায় নেওয়ার পথে পদ্মা সেতুতে নিয়ে গেলে মেয়েটি মারা যায়। আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে নিহতের একটি ছেলে শিশুর দায়িত্ব নিয়েছি। তার চিকিৎসা ও লেখাপড়ার সব খরচ বহন করব আমরা।
এ ব্যাপারে চিকিৎসক জাহিদুর রহমান ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার মনজুরুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আনে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম