কিশোরগঞ্জে শিশু অপহরণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল।
গ্রেফতার মীর এটিএম ইফতেখারুল আলম ওরফে কবির (৪৭) জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার এম. এম. সবুজ রানা মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।র্যাব জানায়, ২০০৫ সালের ৬ আগস্ট আসামি মীর এটিএম ইফতেখারুল আলম ওরফে কবির (৪৭) ও তার কথিত স্ত্রী পলাতক আসামি মলি বেগম ওরফে রুমা গাজীপুরের টঙ্গির নিশাদ নগরের উত্তর আউজপাড়ার পারভীন আক্তারের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করেন। এক পর্যায়ে বাসার মালিকের সাথে তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামি মলি বেগম ওরফে রুমা বাড়ির মালিকের সাড়ে চার বছরের পুত্র সন্তান রাহিমকে খেলনা কিনে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে অপহরণ করে। দুপুর ২টার দিকে অজ্ঞাত লোক ফোন করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরদিন শিশু রাহিমের মা পারভীন আক্তার বাদী হয়ে টঙ্গি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার কয়েকদিন পরই টঙ্গি থানা পুলিশ শিশু রাহিমকে জীবিত উদ্ধারসহ আসামি মীর এটিএম ইফতেখারুল আলম ওরফে কবির ও তার স্ত্রী মলি বেগম ওরফে রুমাকে গ্রেফতার করে। পরে আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যান।
আসামিরা পলাতক থাকাবস্থায় গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা ও দায়রা জজ মোছাম্মৎ রোকসানা বেগম হেপী ১নং আসামি মীর এটিএম ইফতেখারুল আলম ওরফে কবির ও ২নং আসামি তার স্ত্রী মলি বেগম ওরফে রুমাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এম. এম. সবুজ রানা জানান, সোমবার রাতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মীর এটিএম ইফতেখারুল আলম ওরফে কবিরকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে পাকুন্দিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম