স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে পাইপ দিয়ে আঘাত করেছেন স্বয়ং প্রধান শিক্ষক। কানে আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত স্কুল ছাত্র সাব্বির হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গত সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের শোন্দহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রধান শিক্ষক আবদুর রশীদ চৌধুরী সাব্বিরের উপর এমন অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ঘটনার সময় বিদ্যালয়ে বন্ধু নাঈমের সাথে ঘুরছিলো সাব্বির। এসময় নাঈম নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ভাবী বলে সম্বোধন করেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই নারী শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। ভয়ে নাঈম বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সাব্বিরকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করলে একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষক লোহার পাইপ দিয়ে সাব্বিরের কানে আঘাত করেন। সাথে সাথেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায় সাব্বির। অন্যরা এসে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেই থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।
আহত শিক্ষার্থী সাব্বির উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছোন্দহ গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও শোন্দহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। সাব্বিরের মা সাবিনা খাতুন বলেন, অমানবিকভাবে আমার ছেলেকে মারধর করা হয়েছে। আমরা গরিব মানুষ বিচার কার কাছে চাইবো? আমি প্রধান শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদ চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আসলেই এটা দুঃখজনক ঘটনা। অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল