জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লাইলী বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী জুয়েল হোসেনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
জুয়েল হোসেন জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার রসুলপুর দাহাড়পুকুর (গুচ্ছগ্রাম) এলাকার আঃ জলিলের ছেলে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তার বাবা জলিল ও মা লিলি বেগমকে মামলা থেকে খালাস দেন আদালত।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে জুয়েলের সাথে লাইলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য দরিদ্র পরিবারের লাইলীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন জুয়েল। এরই জেরে ২০০৭ সালের ২৩শে জুলাই রাতে জুয়েল লাইলী বেগমকে যৌতুকের দাবিতে এলোপাতাড়ি লাথি, কিল-ঘুষি ও মারপিট করলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন লাইলী ।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে জুয়েল প্রচার করতে থাকে। এতে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে জুয়েল কৌশলে পালিয়ে যায়। পরদিন নিহতের বড় বোন রাবেয়া খাতুন ২০০৭ সালে ২৪শে জুলাই ক্ষেতলাল থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করার কিছু দিনের মধ্যে পুলিশ জুয়েলকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। এর ৩ মাসের মধ্যে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে।
দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ দুপুরে আদালতে বিচারক আসামি জুয়েলকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, হত্যার সাথে সংশ্লিষ্টতা না পওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি জুয়েলের মা লিলি বেগম ও বাবা আবদুল জলিলকে বেকসুর খালাস প্রদানের আদেশ দেন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন জয়পুরহাট জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ও এপিপি উদয় সিংহ। আর আসামিপক্ষে ছিলেন এ্যাড. উজ্জল হোসেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ