২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৪৯

বাগেরহাটে আইএলওর ড্রাইভিং শিক্ষার্থীদের লাইসেন্স নিয়ে ঘুষের অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে আইএলওর ড্রাইভিং শিক্ষার্থীদের 
লাইসেন্স নিয়ে ঘুষের অভিযোগ

বাগেরহাটে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর স্কিলস-২১ প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নেয়া শিক্ষার্থীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে প্রশিক্ষক আইএলওর ড্রাইভিং প্রশিক্ষক মো. রুবেলের বিরুদ্ধে। বাগেরহাটে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি) চলমান ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কোর্সের ২৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্তত ১৮ জনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। যারা টাকা দেয়নি তারা পাশ করতে পারবে না আইএলওর ড্রাইভিং প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন হুমকির অভিযোগ করেছেন ২য় ব্যাচের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

মোঃ সাব্বির হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী জানান, বাগেরহাটে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিতে আইএলওর চার মাসের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করলে আমরা আইএলও থেকে ৪ হাজার ২শ টাকা পাই। ভর্তির সময় বলা হয়েছিল ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আমাদের কোন টাকা লাগবে না। কিন্তু এখন আমাদের কাছ থেকে ড্রাইভিং পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার জন্য জন্য ৩ হাজার টাকা করে নিয়েছেন প্রশিক্ষক মো. রুবেল। শুধু আমি না, প্রায় সকল প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে এই টাকা নিয়েছেন রুবেল স্যার। অপর এক শিক্ষার্থী জানান, বিআরটিএতে টাকা দেয়া লাগবে বলে আমাদের কাছ থেকে ৩ হাজার করে টাকা নিয়েছে। আমিসহ অন্তত ১৮ জন শিক্ষার্থী তিন হাজার টাকা দিয়েছি। এটা যদি জানাজানি হয় আমাদের ফেল করায়ে দিতে পারে। এজন্য কেউ মুখ খুলছে না।

মো. নুরুজ্জামান নামের এক প্রশিক্ষণার্থী এমন অভিযোগ করে বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকায় একটি ট্রাক চালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলাম। রুবেল স্যার ফোন করে বিআরটিএতে দেয়ার জন্য তিন হাজার টাকা চেয়েছিলেন। কাছে টাকা নেই বলে জানালে, তিনি বলেন টাকা না দিলে ফেল করায়ে দিবেন। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানতে পারি তাদের কাছ থেকেও তিন হাজার করে টাকা নেয়া হয়েছে। 
অভিযোগ অস্বীকার করে আইএলওর স্কিলস-২১ প্রকল্পের ড্রাইভিং প্রশিক্ষক মো. রুবেল বলেন, আমি কোন টাকা নেইনি। এগুলো সবই অপপ্রচার।

এদিকে বিআরটিএতে লাইসেন্সের জন্য সরকারি ফি ছাড়া কোন টাকা নেওয়া হয়না দাবি করে বাগেরহাট বিআরটিএর পরিদর্শক রনজিত কুমার হালদার জানান, সরকারি ফি ছাড়া বিআরটিএর লাইসেন্স প্রদানের জন্য আমরা কোন টাকা নেই না। যদি কেউ বিআরটিএর নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নিলে সে দায়দায়িত্ব তাদের। 
আইএলওর স্কিলস-২১ প্রকল্পের সমন্বয়ক ইলিয়াস রহমাতুল্লাহ জানান, ড্রাইভিং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাগেরহাট ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির অধ্যক্ষ মো. জিয়াউল হক জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোন বিধান নেই। যদি কোন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেয় তা হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর