নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকা হাতিয়ায় পর্যটন কেন্দ্রে তিন যুবতীকে শ্লীলতাহানি করে ধর্ষণের চেষ্টা করে টাকা ও স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হাতিয়া থানায় মামলার পর পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার মিন্টু (২৮) উপজেলার নিমতলী এলাকার বেলাল মাঝির ছেলে।
শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক যুবতী বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নিমতলী পর্যটন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা তিন বোন হাতিয়া উপজেলার ওছখালী থেকে নিমতলী পর্যটন এলাকায় ঘুরতে যান। নিমতলী সৈকত ঘুরে দেখার সময় অপরিচিত চার যুবক তাদের উক্ত্যক্ত করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের ধর্ষণের চেষ্টা করে পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। ওই সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সামনে বখাটেরা প্রকাশ্যে আমাদের গলার, কানের স্বর্ণের চেইন, কানের ফুল, ব্যাগে থাকা ২১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে আরো বলেন, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করলে হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন প্রথমে এ ঘটনাকে মিথ্যা দাবি করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। তারপর আমাকে মুঠোফোনে কল করেও গালিগালাজ করে। কিন্ত ঘটনার সময় স্থানীয়রা ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ায় ওসি মামলা নিতে বাধ্য হয়। ওসি আমাদের কিছু হয়নি বলে আসামি ছেড়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়।
হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ও নিমতলী পর্যটন এলাকায় ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানান, দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসলে আতঙ্কে থাকতে হয়। এখানে প্রায় সব সময় ছিনতাইকারীরা ঘুরে বেড়াই। নিরাপত্তা জোরদার ও যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করলে আরও ব্যাপক পর্যটনের আগমন ঘটবে এ এলাকায়।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সহকারী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) মো. আমান উল্যাহ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি ওসি আমাকে অবগত করলে তাকে মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে মামলার বাদীর সাথে ওসির খারাপ ব্যবহারের বিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল