ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের তুজারপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচটি বাড়ি ও দুটি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৩২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস, দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ বিপুল সংখ্যক ঢাল, সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ ১১ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তুজারপুর গ্রামে দুটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন তুজারপুর গ্রামের ওমর মাতুব্বর (৬০), অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন তুজারপুর গ্রামের ওহাব ভূইয়া (৫৭)। দুই পক্ষের মধ্যে অতীতে অনেকবার দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা ঘটেছে। গত এক বছরে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গত কয়েক দিন আগে ওহাব ভূইয়ার পক্ষের রুহুল ভূইয়াকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে। লাইলাতুল বরাতের রাতে ওহাব ভূইয়ার পক্ষের সাইদুল শেখকে (২০) মারধর করে ওমর মাতুব্বরের পক্ষের সিয়াম মোল্লা (২০)। পরদিন বুধবার সন্ধ্যার পুনরায় সাইদুল শেখকে ওমর মাতুব্বরের পক্ষের লোকজন মারধো করে। এরপর দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাৎস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এরপর বুধবার দিবাগত রাত ১২ টার পরে পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ওমর মাতুব্বরের পক্ষের আবু সরদার ,জাফর সরদার, ইলিয়াস সরদারের বাড়ি ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এভাবে রাত ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলে।
সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ শর্ট গানের গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে পুনরায় ওমর মাতুব্বরের পক্ষের মজিবর মাতুব্বর, গিয়াস উদ্দিন মাতুব্বরের বাড়ি, কুদ্দুস মাতুব্বর ও কবিরউদ্দিন মোল্লার দোকান ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন দাবি করেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এলকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল