নেত্রকোনার আটপাড়ায় ক্লুলেস অটোরিকশা চালক হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ছিনতাইকৃত অটোরিকশা উদ্ধার করে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট ৩ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে র্যাব ১৪। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও অপারেশন এবং মিডিয়া অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, গত ৭ মার্চ আটপাড়ায় সড়কের পাশে পাওয়া লাশটি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার সুন্দাইল গ্রামের মৃত আরব আলীর পুত্র মো. কাইয়ূমের (২৯)। তিনি গত ৫ তারিখ থেকে অটোরিকশা নিয়ে নিখোঁজ ছিলেন। খবর পেয়ে তার বড় ভাই মো. শাহজাহান (৩৬) পরিবারের অন্যদের নিয়ে এসে লাশ শনাক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ১৪ ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার কেন্দুয়া থেকে মো. বাবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদ বেরিয়ে আসে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য। অটোরিকশাটি ছিনতাই করতেই চালক কাইয়ুমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার অন্য সহযোগিদের নিয়ে পালিয়ে যায় বাবুল।
পরে ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মো. নিজাম উদ্দিনের পুত্র মো. ইয়াছিন মিয়ার (২৯) কাছে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করলে ইয়াসিন একই জেলার জামালগঞ্জের ভাটিলালপুর গ্রামের সুমন মিয়ার পুত্র মো. ফাজিল মিয়ার (৩৫) কাছে ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ওই ক্রেতা চাঁনপুর গ্রামের মহাজ উদ্দিনের পুত্র আমির হোসেনের (৩৩) কাছে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করলে তিনি কিবরিয়ার (৩২) নিকট ৭২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত মো. বাবুল মিয়া এবং ইয়াছিনের নামে আরো অটোরিকশা চুরিসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে। তারা মূলত অটোরিকশাটি ছিনতাই করতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তাদেরকে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল