কিশোরগঞ্জের ভৈরবের প্রবীণ সাংবাদিক বশীর আহমেদ (৭৪) আর নেই। শনিবার রাত দেড়টার দিকে অসুস্থাবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বশীর আহমেদ ভৈরবপুর দক্ষিণ পাড়া হাজী নুর মোহাম্মদ ব্যাপারী বাড়ির হাজী ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ ছিলেন।
রবিবার জোহরের নামাজের পর ভৈরব সরকারি কেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাযা শেষে ভৈরব পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রবীণ সাংবাদিক বশীর আহমেদ পাকিস্তান আমলে সংবাদ পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর এ পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গ্রাম বাংলা নামের একটি স্থানীয় পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও তিনি সাংবাদিকতাই করে গেছেন। ১৯৬৮ সালে ভৈরব প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠায় অন্যতম ভূমিকা পালন করেন তিনি। তিনি প্রায় ৩৫ বছর ভৈরব প্রেসক্লাবের সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভৈরব প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি ভৈরব শাখা গঠনে জোরালো ভূমিকা পালন করেন।
বশীর আহমেদ এর মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের সংসদ সদস্য ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, ভৈরব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়দুল্লাহ মিয়া, উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ভৈরব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হুমায়ুন কবির গভীর শোক প্রকাশ করেন। এছাড়াও সাংবাদিক বশির আহমেদ এর মৃত্যুতে ভৈরব প্রেসক্লাবসহ ভৈরব সাংবাদিক সমাজ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ