রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি স্বাভাবিক ঘটনা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে। এ বছর ঈদুল ফিতরে রংপুর এলেঙ্গা মহাসড়কে অবস্থা কোথাও কোথাও কিছুটা ভাল হলেও মারাত্মক যানজটের শঙ্কা রয়েছে রংপুর নগরীর মর্ডান মোড় থেকে যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত। যানজটের পাশাপশি বাস-ট্রাকের চালকদের বেপরোয়া গতির প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর- হাটিকুমরুল-এলেঙ্গা মহাসড়ক ৬ লেন প্রকল্পটির ১৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ। এর কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। প্রথম দফায় কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের আগস্টে। তবে কাজ শেষ করার নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর। প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৪৬১ মিটার দৈর্ঘ্যের ২৬টি সেতু, ৪১১ মিটারের একটি রেলওয়ে ওভারপাস ও ১১টি স্টিল ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। অনেকস্থানে সড়ক ও ব্রিজের নির্মাণ কাজ এখনও চলমান।
ওইসব স্থানে প্রতিদিনই যানজট লেগে রয়েছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসবে যানজটের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। শঠিবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ি বড়দরগাহ, রাউতপাড়া, শুকানচৌকি, লালদীঘি, শঠিবাড়ি, দমদমা এলাকারসহ আরও অনেক স্থানে যানজটের পাশাপাশি জনজট মারাত্মক অস্বস্তি এনে দিয়েছে। মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ে দিনে যে পরিমাণ যানবাহন চলাচল করে, ঈদে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে কয়েকগুণ। বর্তমান অবস্থায় যানবাহনের চাপ আর রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজের ধীরগতি থাকার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এছাড়াও মহাসড়কে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচলের কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানবাহনের গতি ধীর হয়ে যায়।
মমিনুল ইসলামসহ একাধিক ঢাকাগামি যাত্রী বলেন, রংপুর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার রাস্তা যেতে ৭/৮ ঘণ্টা সময় লাগছে। যানজটে ঘন্টার পরে ঘণ্টা সময় চলে যাচ্ছে। পথই শেষ হয়না। কবে সড়কের কাজ শেষ হবে। কবে এই পথে যাতায়াতকরিদের ভোগান্তি লাঘব হবে এমন প্রশ্ন এখন এই অঞ্চলের মানুষের। বর্তমানে রাস্তার কাজ চলায় রংপুরসহ আশপাশের জেলার মানুষের ঢাকা যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা সড়কটি গুরুত্বসহকারে নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সেই সাথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করার জন্য শংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামানা করেছেন।
রড়দরগা হাইওয়ে থানার ওসি সোলায়মান শেঠ বলেন, যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে যানজট নিরসনে প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশ বাড়ানো হবে। এছাড়া কমিউনিটি পুলিশেরও সাহায্য নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ