১৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১৪:৪৮

ফাঁকা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক, স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ

নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল

ফাঁকা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক, স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ

ঈদ যাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অনেকটাই স্বস্তির মধ্যদিয়েই ঈদে ঘরমুখো মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছে। বুধবার থেকেই রাজধানী ঢাকার মানুষ নাড়ির টানে কেউ ব্যক্তিগত যানবাহনে, মোটরসাইকেলযোগে ও ট্রেনে-বাসে যে যেভাবে পারছে বাড়ি ফিরছে। 

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ প্রশাসন ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে নানা প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মহাসড়কে আট শতাধিক পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।

উত্তরবঙ্গসহ ২৩ জেলার ৯২টি সড়কের যানবাহন টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। ঈদের সময় এ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল আট দশগুণ বেড়ে যায়। যার কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে এ ঈদ যাত্রায় মানুষ স্বস্তির নিঃস্বাস নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে। ইতিমধ্যেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় চার লেনসহ দুই পাশে ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য আরও দুটি সার্ভিস লেনের কাজ শেষে হয়েছে অনেক আগেই। এতে করে গাজিপুরের চন্দ্রা থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন চার লেনের মহাসড়কের সুফলভোগ করছে এ মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। তবে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তাটি এখনও চার লেনে উন্নিত হয়নি। ফলে ৭০কি.মি. এলাকার সুফল মিললেও দুভোর্গ পিছু ছাড়েনি উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার যাত্রীদের। এই ১৩ কিলোমিটারে যাতে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য প্রশাসন উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলো ভুঞাপুর লিংক সড়করদিয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে পাঠানো হচ্ছে। আর ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনগুলোর জন্য এই ১৩ কিলোমিটার সড়ক একমুখী করে দেয়া হয়েছে।

দূরপাল্লার যানবাহন হানিফ পরিবহনের চালক মোবারক হোসেন জানান, চন্দ্রা থেকে চার লেনের মহাসড়ক দিয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসার পর কিছুটা যানজটে পড়তে হয়। এই চাপটা বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা পযর্ন্ত থাকে।

বাস চালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, মহাসড়কে অনেকটা স্বস্তি নিয়েই চলাচলা করা যাচ্ছে। তবে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, এবার ঈদ যাত্রায় মানুষ যাতে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পার তার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গাজীপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত যানবাহনের স্বাভাবিক গতি থাকলেও এলেঙ্গা আসার পরই গাড়ির তুলনায় রাস্তা ছোট হওয়ায় গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে না। ফলে প্রতিনিয়তই সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্বর থেকে ভুয়াপুর লিংক রোড দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কে কোন যানবাহন দুর্ঘটনা কবলিত হলেও যাতে তাৎক্ষণিক মহাসড়ক থেকে সরানো যায় তার জন্য র‌্যাকার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর