ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, রবিবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার শালুকগাড়ি নামক স্থানে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক রাজা মিয়া নিহত হন। সে শাজাহনপুর উপজেলার আমরুল ফুলকোট গ্রামের মৃত শুকর আলী ছেলে।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদীন জানান, ঢাকাগামী দ্রুতগতির একটি বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক মহাসড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাস পালিয়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করে।
অপরদিকে, শনিবার বিকাল সাড়ে চারটায় নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম বেড়াগাড়ি এলাকায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার নান্টু মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন এবং ২৬ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক যুবক। এছাড়া এ ঘটনায় নিহত ইমরানের স্ত্রী এবং ভাতিজা আহত হয়েছেন। আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আবুল হাসনাত জানান, এক যুবক নন্দীগ্রাম থেকে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। অপরদিকে কুন্দারহাট থেকে নন্দীগ্রামের দিকে যাওয়া মোটরসাইকেলের সাথে ওই যুবকের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই যুবক মারা যান। এবং অপর মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমরানকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুই জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়া দুই মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত