শিরোনাম
১৬ মে, ২০২৩ ১৬:২৭

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলেকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলেকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ

জয়পুরহাটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ তিনটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি খাজা আল-আমিন সোহাগকে গ্রেফতার করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোহাগ জয়পুরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খাজা শামসুল আলমের ছেলে।

পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে সোমবার রাতে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ওই আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-জয়পুরহাট পৌর শহরের জানিয়ার বাগান মহল্লার বাসিন্দা ও জয়পুরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খাজা শামছুল আলমের ছেলে খাজা আল আমিন ওরফে সোহাগ (৪২) ও তেঘরবিশা মহল্লার ফুল মাহমুদের ছেলে শাহাজান আলী পান্না।

মামলার এজাহার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খাজা আল আমিন সোহাগের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তাসহ তিনটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোহাগ জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের মূল ফটকে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ।

উপস্থিতি টের পেয়ে সোহাগ দৌড়ে পালানোর চেষ্টার সময় তাকে আটক করা হয়। হাতকড়া লাগাতে গেলে সোহাগ পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে গ্রেফতার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তার সহযোগীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর তারা বাঁশের লাঠি দিয়ে পুলিশ সদস্যদের মারপিট করে এবং পাথর ছুড়ে মারেন। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সেখান গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি সোহাগসহ তার সহযোগী পান্নাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে এসআই রেজাউল করিম, এসআই আলমগীর হোসেন ও এএসআই আসাদুজ্জামানকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, তিন মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি খাজা আল আমিন সোহাগকে গ্রেফতার করতে গিয়ে পুলিশকে মারপিট ও পাথর ছুড়েছে। এতে থানার দুই উপ-পরিদর্শক ও একজন সহকারী উপপরিদর্শক জখম হয়েছেন। আমরা তাদের তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। আসামি সোহাগ ও তার সহযোগী পান্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর