৩০ মে, ২০২৩ ১৬:২২

আম গাছে থোকায় থোকায় ছফেদা ফল!

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

আম গাছে থোকায় থোকায় ছফেদা ফল!

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের অনেক বাড়ির আম গাছে ফলেছে ছফেদা ফল! আমের ভরা মৌসুম জ্যৈষ্ঠ মাসে আমের গাছগুলোতে কাঁচা পাকা আম না ঝুলে থোকায় থোকায় ঝুলছে ছফেদা। যা দেখে মানুষের মনে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। এমন ঘটনা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম খাদা, ধানসাগর ইউনিয়নের সিংবাড়ি ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের বেশ কয়েটি বাড়ির আম গাছে। ওই সমস্ত গাছে চোখ পড়তেই মনে হয় অসংখ্য ছফেদা ফল ঝুলে আছে। হঠাৎ সবুজ আমের গায়ে এমন ধূসর বর্ণ দেখে কেউ বুঝতেই পারবে না এটা আম নাকি ছফেদা। তাইতো আম গাছে ছফেদা দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন ওইসব বাড়ি। ছফেদার মতো দেখতে এসব আম পোকায় ভরা বলে জনিয়েছেন ভুক্তভোগী আম বাগান মালিকরা । 

মঙ্গলবার সরেজমিনে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা, ধানসাগর ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের বেশ কয়েটি গ্রাম ঘুরে আমের গাছগুলোতে কাঁচা পাকা আম না ঝুলে থোকায় থোকায় ছফেদা ফলের মতো দেখতে আম ঝুলতে দেখা গেছে। রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম খাদা গ্রামের আম বাগান মালিক শাহজাহান আকন বলেন, আমার বয়স ৭৫ বছর, কখনো দেখিনি আম গাছে ছফেদার মত ফল হয়েছে।

উপজেলার সিংবাড়ি গ্রামের সুমন সরদার, রাজৈর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ বছর অনেক আমাদের আম গাছে ছফেদা রঙের এমন আম হয়েছে। যা বিক্রি করাও যায় না। এসব এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে আমের চাষাবাদ না হলেও উপজেলার প্রত্যেকটি বাড়িতে কম বেশি আম গাছের বাগান রয়েছে। এবছর সেইসব গাছে রেকর্ড পরিমাণ আম হয়েছে। তবে, কিছু গাছের আম ছফেদা ফলের মতো ধূসর রঙের হওয়ায় তা খাওয়া নিয়ে আম খামারিসহ এলাকাবাসির মধ্যে ভীতি দেখা দিয়েছে। যে কারনে ছফেদা ফলের মতো দেখতে এসব আম খামারিরা বাজারে বিক্রিও করতে পারছেনা বলেও জানান। 

শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, আম গাছে কখনো ছফেদা হয়না। দেখতে অবিকল ছফেদা ফলের মতো হলেও আসলে এগুলো আম। এগুলো এক ধরনের রোগ, যা প্রথমে আফ্রিকা মহাদেশের উগান্ডার আম গাছে দেখা দেয়। এটা এখন বাংলাদেশে কিছু অঞ্চলে আম গাছে দেখা যাচ্ছে। এই রোগাক্রান্ত আমের গায়ে ছত্রাকের আবরণ পড়ে দেখতে ছফেদা ফলের মতো হয়েছে। এতে ভয়ের কিছু নাই। ছত্রাকের কারণে পোকা হলেও যেকোনো সময় ওই আম খাওয়া যাবে। বাগেরহাটে গত এক মাস ধরে চলা তাপদাহে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাবার কারণে আমে ছত্রাকের কারণে এনে হয়েছে। যাদের গাছে এমন আম হচ্ছে তারা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কিটনাশক স্প্রে করলে আমের এই ছত্রাকজনিত সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর