বগুড়ার শেরপুরে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও টাকা লুটকালে ছিনতাইকারীকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। তার নাম আশরাফুল ইসলাম (৪২)।
আটক ব্যক্তি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সফিপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে তার সঙ্গে থাকা ছিনতাইকারী চক্রের আরও পাঁচ সদস্য প্রাইভেটকারে করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, শেরুয়া বটতলা এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অটোরিকশায় বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শেরুয়া বটতলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারে পাঁচজন ব্যক্তি নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে অটোরিকশার গতিরোধ করে। জাল টাকা থাকার অভিযোগ তুলে ওই ব্যবসায়ীকে আটকের নামে প্রাইভেটকারে তোলার চেষ্টা করে। তবে টানা-হেঁচড়া করে তাকে গাড়িতে তুলতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে এবং ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় প্রাইভেট কারটিকে ধাওয়া দেয় তারা। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দেওয়া আশরাফুল ইসলাম গাড়িতে উঠতে না পারায় তাকে আটক করা হয়। আর বাকিরা গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
আটক আশরাফুল ইসলাম পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপহরণের পর টাকা লুটে নেওয়ার জন্যই মূলত অটোরিকশার গতিরোধ করে ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয়। এজন্য তারা নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য বলে পরিচয় দেয়। তার সঙ্গে থাকা পাঁচজন যারা পালিয়ে গেছেন তারাও এই চক্রের সক্রিয় সদস্য। এরমধ্যে আলাউদ্দিন, মাসুদ রানা ও আরিফের নাম বললেও বাকি দুইজনের নাম পরিচয় বলেননি।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। অচিরেই এই চক্রটিকে ধরা সম্ভব হবে। চক্রটি সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে আদালতের কাছে রিমান্ড চেয়ে আশরাফুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল