কুষ্টিয়া থেকে নিখোঁজের ১৮ দিন পর চুয়াডাঙ্গা থেকে এক ইজিবাইক চালকের দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঘোড়ামারা ব্রিজ সংলগ্ন একটি ঝোঁপের মধ্যে থেকে তার দেহের হাড় ও মাথার চুল উদ্ধার করা হয়। পরে নিখোঁজ ইজিবাইক চালক সবুজ মন্ডলকে শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
ওই ঘটনায় আটক ৩ আসামির স্বীকারোক্তিতে নিখোঁজ ব্যক্তির দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। নিহত সবুজ মÐল ছিলেন কুষ্টিয়া পৌর এলাকার মঙ্গলবাড়িয়া বারাদি এলাকার মৃত বাচ্চু মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ১৯ আগস্ট কুষ্টিয়া চৌড়হাঁস মোড় থেকে ইজিবাইকসহ নিখোঁজ হন সবুজ মন্ডল। পরদিন তার মা রেহেনা খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি জিডি করেন। কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে সন্দেহভাজন কুষ্টিয়া সদর থানার ত্রিমোহনী বারখাদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জনি হোসেন, একই থানার কানাবিল বারাদী গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে তুষার ইসলাম ও মিরপুর থানার চারুলিয়া গ্রামের সারোয়ার প্রামাণিকের ছেলে বাচ্চা প্রামাণিককে আটক করে। আটক তিনজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালায় কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। এসময় আসামিদের দেখানো স্থান থেকে নিখোঁজ সবুজের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। লাল গেঞ্জি ও লুঙ্গি দেখে সবুজের মরদেহ বলে শনাক্ত করেন তার স্বজনরা।
নিহত সবুজের চাচা রাশিদুল জানান, সবুজ নিখোঁজ হওয়ার দিন তার পরনে লাল গেঞ্জি ও পরনে লুঙ্গি ছিল।
কুষ্টিয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিরপুর সার্কেল) আবদুল খালেক জানান, ইজিবাইক ছিনতাই করে কুষ্টিয়া শহরের রেনউইক বাঁধে তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে দেয়া হয় চুয়াডাঙ্গায়। আসামিদের স্বীকারোক্তিতে সেই মরদেহের কিছু অংশ পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন জানান, নিহত ব্যক্তির দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম