কুড়িগ্রামে স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় নুর আলম নামে এক পুলিশ সদস্যকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। রবিবার বিকেলের দিকে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ আদেশ প্রদান করেন। এরপরে পুলিশ তার সহযোগী সদস্যকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে। জেলা কারাগারের জেলার আবু সায়েম সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নুর আলম (৩০) জেলার রৌমারী উপজেলার দক্ষিণ টাপুরচর গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে তিনি যৌতুক ও নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত হয়ে গত ৩০ আগস্ট সাময়িক বরখাস্ত হন বলে জানা যায়। মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৪ সালে রৌমারী উপজেলার নিজ গ্রামে ওই পুলিশ সদস্য নুর আলম ৪ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্যে বিয়ে করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি তার স্ত্রীর কাছে চার লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে তার স্ত্রী তাতে রাজি হন না। ফলে তাকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন ওই পুলিশ সদস্য। পরে তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হলেও স্ত্রীকে নির্যাতন করা অব্যাহত থাকে। এমতাবস্থায় গত এপ্রিল মাসে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে যৌতুকের দাবিতে আবারও স্ত্রীকে নির্যাতন করে নুর আলম স্ত্রীকে তার সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেন।
পরে তার স্ত্রী বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত তার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এরপর তিনি জামিনে থেকে মামলার ধার্য দিনে হাজির না হয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন। এরপর রবিবার দুপুরের পর নতুন ধার্যদিনে তিনি হাজির হলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে নুর আলমকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার বাদী ও নুর আলমের স্ত্রী বলেন, আমি সংসার করতে ইচ্ছুক। কিন্তু আমার স্বামী বারবার যৌতুক দাবি করে আমাকে দিনের পর দিন নির্যাতন করেন। এমনকি সন্তান ও আমার ভরণপোষণও দিচ্ছেন না। তাই আমি বাধ্য হয়ে আদালতের শরনাপন্ন হই। আমি এর ন্যায়বিচার চাই।
বিডি প্রতিদিন/এএ