নওগাঁর আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আত্রাইয়ের বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় নতুন করে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমির রোপা আমনের ফসল। বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ায় অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
আত্রাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউদ্দীন আহমেদ জানান, প্রথমে গত বুধবার রাতে, পরে বৃহস্পতিবার সকালে আত্রাই নদীর বাম তীরের (উত্তর) কাশিয়াবাড়ির বলরামচক নামক স্থানে সমসপাড়া সড়কের প্রায় ২০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে সেই ভাঙা অংশ এখন ২০০ ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে। মুনিয়ারী ইউনিয়নের কচুয়া, পালশ, চৌথন, উলাবাড়ি, ধরমপুর, কয়রা, সুলিয়া, মারিয়া, দমদত্তবাড়িয়াসহ অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, সকাল থেকেই আমরা দুর্গত এলাকায় রয়েছি এবং ভেঙে যাওয়া বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই চাল ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, রাণীনগরের নান্দাইবাড়ী ও কৃষ্ণপুর নামক স্থানে বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে ছোট যমুনা নদীর পানি বের হওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ওই এলাকার কৃষ্ণপুর, প্রেমতলি, মালঞ্চি, নান্দাইবাড়িসহ ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে মান্দা উপজেলায় বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম। এ ছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আমিরুল হক ভূইয়া বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভেঙে যাওয়া অংশগুলো বন্ধ করার কাজ চলমান রয়েছে। নদীতে পানি কমতে শুরু করায় আর তেমন ভয়ের কোনো কারণ নেই।
সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ততদের সহযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই