পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পৃথক ঘটনায় হাসি খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূর ও হেলাল উদ্দিন (৫০) নামের একজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার সকাল ১০টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূ পৌরসভার চৌবাড়িয়া মহল্লার আসাদুজ্জামানের স্ত্রী ও হেলাল উদ্দিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৈইডাঙ্গা নতুন পাড়া গ্রামের মৃত তোরাপ খাঁর ছেলে।
জানা গেছে, ১২ বছর পূর্বে চাটমোর উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে হাসি খাতুনের সঙ্গে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়ীয়া মহল্লার আসাদুজ্জামানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবন ১২ বছর পার হইলেও কোন সন্তান দিতে না পারায় প্রতিনিয়ত স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। তিন মাস পূর্বে হাসিকে তালাক দিয়ে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় তারা। কিছুদিন পর গ্রাম প্রধানবর্গ সালিশের মাধ্যমে তাদেরকে পুনরায় বিয়ে দিয়ে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসে।
প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত্রের খাওয়া শেষ করে স্বামীর সঙ্গে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পরে হাসি। রবিবার ভোর রাতে তার স্বামী ও পরিবারের সবাই হাসিকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলতে দেখে থানায় খবর দিলে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ তার মৃত দেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গৃহবধূ হাসির আত্মীয়-স্বজনের দাবি তার স্বামী তাকে হত্যা করেছে।
অপরদিকে রবিবার সকালে মুসল্লিলা মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় কৈডাঙ্গা গ্রামে রাস্তার পাশে হেলালের মৃত দেহ পরে থাকতে দেখে পরিবারের লোকদের খবর দেয়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হেলালের মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং তার মাথায় ও চোখে আঘাতের চিহ্ন পায়।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম