পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশী নাঈমুজ্জামান মুক্তার সমর্থকরা রবিবার বিকালে এই জনসভার আয়োজন করেন। সভায় হাজার হাজার জনতা অংশ নেন।
এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর আটোয়ারি পাইলট স্কুল মাঠ ও ২৮ সেপ্টেম্বর তেঁতুলিয়া সরকারি কলেজ মাঠেও হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এমন জনসভা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় তেঁতুলিয়া, আটোয়ারি উপজেলা ও পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জনসভায় বক্তব্য রাখেন। তবে জেলা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। স্যাংশন তত্ত্বাবধায়ক থোরাই, শেখ হাসিনার কর্মী কি এসবে ডরাই? এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ ছাড়াও পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট আইনজীবী, চিকিৎসক, শিক্ষক, কৃতি খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক, তরুণ শিক্ষার্থী, নারী, বিভিন্ন শ্রমিক, কৃষকসহ এই জনসভায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিল বলে অনুমান করছেন অনেকেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাঈমুজ্জামান মুক্তা বলেন, বেগম জিয়া ১৯৯৩ সালে বৈশ্বিক তথ্য-প্রযুক্তির সুপার হাইওয়ে সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়নি! অথচ সে সময় আমাদের দেশকে বিনামূল্যে এই সুযোগ দেয়া হচ্ছিল! পরবর্তীতে মিলিয়ন ডলার খরচ করে সাবমেরিন সুপার হাইওয়েতে যুক্ত হয় বাংলাদেশ! মির্জা ফখরুলও একইভাবে পারমাণবিক বিদ্যুতের বিরোধিতা করে বলেন- ইউরেনিয়াম হচ্ছে ক্যামিকেল! কারণ বিএনপির লক্ষ্য “টেক ব্যাক” করে অন্ধকারে যাওয়া! আর শেখ হাসিনা বলেন, ‘লুক ফরোয়াড বাংলাদেশ’ ২০৪১ এ দেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ!
তিনি আরও বলেন, “আমাদের শৈশবের মুগ্ধতা এবং গর্বের প্রতিষ্ঠান এই পঞ্চগড় চিনিকল। এর সাইরেনের শব্দ শুনে বেড়ে ওঠা আমাদের প্রজন্ম।হাজার হাজার মানুষের কর্মচাঞ্চল্য জীবিকার অবলম্বন কাদের ব্যর্থতায় আজ নিথর হয়ে গেল আমি এই প্রশ্ন রাখতে চাই?
আমি প্রত্যয় ঘোষণা করছি সুযোগ পেলে আবারও সেই সাইরেন বাজবে। চালু হবে আমাদের চিনিকল! কর্মচাঞ্চল্য হয়ে উঠবে চিনিকল! ষড়যন্ত্র করে লোকসান দেখিয়ে এই চিনিকলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় বক্তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনে নাঈমুজ্জামান মুক্তাকে মনোনয়ন প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানান।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত