ঢাকে পড়েছে কাঠি। বেজে উঠেছে শঙ্খ। ছন্দে ছন্দে মেতে উঠেছে উলুধ্বনি। শিউলি ফুলের সুভাস। ধূপ আর আগরবাতির আরতিতে বিমহিত দেবী দুর্গা। একই সাথে চলছে চন্ডিপাঠ। আর দেবির বোধন। লাল পাড় আর সাদা শাড়িতে মণ্ডপে মণ্ডপে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে সনাতন ধর্মালম্বীর কিশোরীরা। এমনই চিত্র দেখা মিলছে এখন রাঙামাটির দুর্গা পূজা মণ্ডপে।
শনিবার ছিল মহাসপ্তমী। সকাল ৬টা ১০মিনিটে শুরু হয় মহাসপ্তমীর আনুষ্ঠানিকতা। চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে পূজা চলে দুপুরব্যাপী। একই সাথে চলে দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান। প্রসাদ গ্রহণ। শাস্ত্র অনুযায়ী, মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে (ষোলো উপাদানে) দেবীর পূজা হয়। ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হবে। একই সঙ্গে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করে ভক্তরা।
পুরোহিতরা জানান, সপ্তমীতে দেবী দুর্গার কালরাত্রি রূপের পূজা করা হয়। এর ফলে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন দেবী দুর্গা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি দুর্গোৎসবের বারতি সৌন্দয্য যোগ করেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে সনাতন ধর্মালম্বী ত্রিপুরা পল্লীতে দুর্গোৎসব। শহরের গর্জনতলী ও ক্যাল্লামুড়ার ত্রিপুরা পল্লীতে এবার জমজমাটভাবে পালিত হচ্ছে এ দুর্গোৎসব। এছাড়া জাতী ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ এ দুর্গোৎসবে মেতে উঠেছে। উৎসবে বসেছে মেলা। পুজা মণ্ডপের আগে সড়কে সড়কে বসেছে হরেক রকম পণ্যের মেলা। এতে আনন্দ উল্লাস ভাগ করে নিয়েছে সব ধর্মের মানুষ।
প্রসঙ্গত, রাঙামাটিতে এবার ৪১টি পুজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুর্গোৎসব। তার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ত্রিপুরা সম্প্রদায়েও রয়েছে ২টি পুজা মণ্ডব। প্রতিটি পুজা মণ্ডপে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একই সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মন্দিরগুলোতে সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল