ঝালকাঠিতে স্কুল শিক্ষিকা ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় প্রাক্তন স্বামী মো. ফরিদুল ইসলামের (৩৩) নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার দুপুরে বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম.এ. হামিদ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ অক্টোবর ফরিদুল ইসলাম, ফরিদের মা রিনা বেগম ও ভাই হামিদুর রহমান সুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ও দণ্ডবিধির ৩০৬/৪১৯ ধারায় পিরোজপুর পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক মো. বায়জিত আকন এ প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে।
তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, দাম্পত্য কলহ ও অঙ্গীকারনামার কপি, হরিনপালা পার্কের ছবি, হোটেলের রেজিস্ট্রারের ছবি, মোবাইল সিডিআর, সুইসাইড নোট, হাতের লেখাসহ বিশেষজ্ঞ মতামত ও স্বাক্ষী প্রমাণে প্রাথমিকভাবে সুলতানা জাহান মুনাকে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন স্বামী ফরিদুল। উল্লেখ্য ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অবিচারের শিকার হয়ে কৃষ্ণকাঠি এলাকার টাইগার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুলতানা জাহান মুনা (২৯) শহরের বিশ্বরোডে তাঁর ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এঘটনায় তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তা মো. আবুল বাসার বাদী হয়ে ফরিদুল ইসলামসহ তিনজনকে আসামি করে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশি মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিরোজপুরকে নিদের্শ দেয়। পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক মো. বায়জিত আকনকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
বাদীর আইনজীবী ফয়সাল খান বলেন, বাদীর মেয়ে মুনার সাবেক স্বামী ফরিদুল প্রতারণা করে তার সাবেক স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে এটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে। তাই আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল