স্বাধীনতার ৫২ বছর পর একটি বাঁশের সাঁকোয় তৈরি হলো দু’টি গ্রামের মানুষের সেতুবন্ধন। সহজেই বদলে গেল এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। সাতক্ষীরা পৌরসভার কল্যাণে শহরের উপকণ্ঠে আবাদানি খালের উপর তৈরী করা হয় একটি বাঁশের সাঁকো।
পৌরসভার দৌলতপুর উত্তরপাড়া এবং খড়িবিলা গ্রামের আবাদানী এলাকার মানুষের চালাচল ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার সুবিধার্থে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু এবং ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মারুফ আহম্মেদ এলাকার দুর্ভোগ লাঘবে এ বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে একটি বাঁশের সাঁকোয় দুটি অঞ্চলের মানুষের সেতু বন্ধনের দ্বার উন্মোচিত হলো।
এই বাঁশের সাঁকো নির্মাণে বেশি খুশি খড়িবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, শুকনো মৌসুমে স্কুলে যেতে পারলেও বর্ষা মৌসুম তাদের অতিকষ্টে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ভিন্ন এলাকা দিয়ে তাদের স্কুলে যেতে হতো। এখন তারা অতিসহজেই স্কুলে যাতায়াত করতে পারবে।সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু বলেন, পৌরসভার ৬নং এবং ৭নং ওয়ার্ডের মানুষের চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পৌরসভার অর্থায়নে এ বাঁশের সাকো নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাঁশের সাকো দুটি ওয়ার্ডের মানুষের চলাচলের সেতুবন্ধন হয়েছে। এতে এলাকাবসীর দুর্ভোগ লাঘব হলো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল