কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে জেলেরা মাছ ধরছে। শনিবার বিকেলে এক জেলের জালে ১০ কেজি ও ১৫ কেজি ওজনের দুটি পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়েছে। পরে মাছ দুটি চিলমারীর এক মাছ ব্যবসায়ী নিকট বিক্রি করা হয়। মাছ ব্যবসায়ী সাজু মিয়া জেলে বিপুল চন্দ্রের কাছ থেকে প্রতি কেজি ৯০০ টাকা ক্রয় করেন।
জেলে বিপুল চন্দ্র চিলমারী উপজেলার শাখাহাতি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়। শনিবার শেষ বিকেলে ব্রহ্মপুত্র নদের রমনাঘাট এলাকায় ওই জেলে বিপুলের জালে এ পাঙ্গাশ মাছ দুটি ধরা পড়ে।
স্থানীয়রা জানান,বর্তমানে জেলেরা ইলিশের প্রজনন মৌসুম শেষ হওয়ার পর ইলিশের খোঁজে জাল ফেলছিলেন।কিন্তু ইলিশ ধরা পড়ছিলনা। এরই ধারাবাহিতকতায় ইলিশ মাছ ধরার জন্য জেলে বিপুল চন্দ্রসহ কয়েকজন জেলে ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ ধরতে যান। ইলিশ মাছ ধরার প্রত্যাশা করা হলেও তারা কোন মাছই পাচ্ছিলেন না।পরে আকষ্মিকভাবে ইলিশের আশায় জাল ফেললে তাদের ওই জালে বড় দুটি পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়ে। পরে বিপুল জেলের কাছ থেকে মাছ দুটি স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী সাজু প্রতি কেজি ৯০০ টাকা দরে কিনে নেয়। মাছ ব্যবসায়ী সাজু বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদে মাঝে মধ্যে ছোট ছোট পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়ে। কিন্তু এবার অনেক বড় পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়ায় অবাক হয়েছি। নদীতে এতবড় পাঙ্গাশ পাওয়া যাবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি এ খবর শুনে রমনা ঘাট থেকে বিপুলদের কাছ থেকে পাঙ্গাশ মাছ দুটি কিনে নেই। ১০ কেজি ও ১৫ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ মাছ দুটি ১২শ থেকে ১৩শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি।
স্থানীয়র জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে জেলেদের জালে এত বড় পাঙ্গাশ মাছ ধরার নজির কম। এবার দুটি বড় আকৃতির পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়ায় অনেকেই আশ্চর্য হন। এ মাছ সাধারণত স্থানীয় বিল অথবা পুকুরে ব্যবসায়িকভাবে চাষ করা হলেও নদীতে প্রথম রেকর্ড যে বড় আকৃতির পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাজির খাঁন বলেন, বাণিজ্যিকভাবে পাঙ্গাশ চাষ করে অনেকেই লাভবান হচ্ছে। তবে নদ-নদীতে পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়েছে এটা অত্যন্ত সু-খবর।
বিডি প্রতিদিন/এএম