হবিগঞ্জে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মো. মোস্তফা কামাল নামে এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট বিদ্যুত আদালতের বিচারক মোঃ আনোয়ারুল হক এ আদেশ দেন। মোস্তফা কামাল হবিগঞ্জ শহরের মাছুলিয়া এলাকার হাজী আকবর আলীর ছেলে। ১২ লাখ ১৪ হাজার টাকা আদায়ের এ মামলায় অপর ২ ভাই জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সামছুল হক ও তার ভাই মো. কুরবান আলীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে মিটার চেকিং, অবৈধ ও বকেয়া সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য শহরের মাছুলিয়া এলাকায় অভিযান চালায় হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এসময় তারা ওই এলাকার মৃত হাজী আকবর আলীর ছেলে মো. সামছুল হকের বাড়িতে ব্যবহৃত প্রি-পেইড মিটারে ইনকামিং থেকে সরাসরি মিটার বাইপাস ও কৃত্রিম পদ্ধতি ব্যবহার করে ট্যারিফ বহির্ভূত মিটার দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অটো গ্যারেজের ৫টি ব্যাটারিচালিত রিকশা চার্জ এবং গভীর নলকূপের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে দৈনিক প্রায় ৩ হাজার লিটার খাবার পানি উত্তোলন ও বোতলজাতকরণ কার্যক্রম দেখতে পান।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ওই প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পর থেকে অনুমোদিত লোড ১৫ কিলোওয়াট হিসেবে গত ২২ মাসে ১২ লাখ ৪০ হাজার ১২৪ টাকা বিদ্যুত ব্যবহার হওয়ার কথা থাকলেও রিচার্জ করা হয়েছে মাত্র ৯০ হাজার ৬৫০ টাকা। একই স্থাপনায় আরো ২টি মিটারে বকেয়া রয়েছে ৬৫ হাজার ৪শ টাকা। অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় সংযোগটি তাৎক্ষণিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে গেলে সামছুল হক ও তার ভাইয়েরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সরকারি রাজস্ব আদায় কাজে বাধা প্রদান, অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ লাঠি নিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মেরে ফেলার হুমকি ও ভয়তীতি প্রদর্শন করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই তারা ফিরে আসেন। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, বিউবোর বিধি মোতাবেক সামছুল আলম ও তার ভাইদের কাছে ১২ লাখ ১৪ হাজার ৮৭৪ টাকা আদায়যোগ্য। হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী ও মামলার বাদী সুমন কুমার প্রামাণিক জয় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ