নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের জন্য কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে স্ত্রীর শরীর ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। রবিবার সকালে এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী রাসেলসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। আহত স্ত্রীর শরীরে শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে শনিবার দুপুরে উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার (২০) চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুরের মোঃ ইউসুফের মেয়ে।
আহত স্ত্রীকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
জানা যায়, পাঁচ বছর আগে বেগমগঞ্জ উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে মোঃ রাসেলের সাথে বিয়ে হয় নাজমা আক্তারের। বিয়ের পর থেকে রাসেলকে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দেন নাজমার পরিবার। গত ৬ নভেম্বর অটোরিকশা কেনার জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে নাজমাকে বাপের বাড়ি পাঠান রাসেল। নাজমা টাকা ছাড়া ফিরে আসায় শনিবার দুপুরে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙতে থাকে রাসেল। এক পর্যায়ে নাজমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন রাসেল। এ সময় বাড়ির লোকজন নাজমাকে উদ্ধারের চেষ্টা আসলে বাধা দেন রাসেল। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মোঃ ইস্তিয়াক হোসেন জানান, আগুনে নাজমার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার বুকে ও পেটেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফোসকা দেখা দিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হতে পারে বলে জানান তিনি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ স্বামী রাসেলসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ