মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আব্দুল্লাহপুর গ্রামে ভাড়াবাসা থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ব্যবসায়ীকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
মৃত ব্যবসায়ীর নাম রাহাফুল খান (২২)। তিনি ভবেরচর ইউনিয়নের চর পাথালিয়া গ্রামের জাহিদ হোসেনের ছেলে।
তার বড় ভাই হৃদয় খান বলেন, রাহাফুল পেশায় ব্যবসায়ী। ভবের চর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাউশিয়া বহুমুখী উন্নয়ন সমিতি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নিউ নবাবপুর ইলেকট্রিক নামে তার একটি দোকান আছে। এতদিন সে তার বাড়ি চরপাথালিয়া গ্রাম থেকে দোকানে যাওয়া-আসা করলেও রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হতো। তাই চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে দোকানের কাছে আব্দুল্লাহপুর গ্রামে ওয়াজেদ আলীর আধাপাকা বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকতো। তবে রবিবার সকালে আমরা জানতে পারি গত দুইদিন ধরে রাহাফুল দোকানে আসে না। আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে শনিবার সকালে তার সর্বশেষ কথা হয়েছিল তারপর থেকে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ। রবিবার সকালে তার দোকান বন্ধ দেখে দুপুর ১২টার দিকে আমরা তার ভাড়া বাসায় যাই। সেখানে গিয়ে রুমের বাহির থেকে দুর্গন্ধ পাই। তবে দরজাটি বাহির থেকে তালা দেওয়া ছিল। বিষয়টি সন্দেহ হলে আমরা সাথে সাথে পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে রুমে প্রবেশ করলে দেখা যায় সোফার মধ্যে পড়ে আছে রাহুাফুল। তার মাথা, পেট, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। আশেপাশের জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ছিল।
তার নানী মমতাজ বেগম বলেন, রাহাফুল যে রুমে ভাড়া থাকতো তার আশপাশের রুমের ভাড়াটিয়ারা দরজায় তালা দিয়ে পালিয়েছে। রাহাফুলের রুমটিও বাহির থেকে তালাবদ্ধ ছিল। ঘটনা থেকে স্পষ্ট, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে হত্যাকারীরা পালিয়ে গেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শনিবার রাতের কোনো এক সময়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। তদন্তের পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল