বিএনপি-জামায়াতের ৫ম দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বগুড়া শহরজুড়ে সব ধরনের যান চলাচল করছে। ফলে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথাসহ বিভিন্ন সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। যানজটের ফলে মানুষের পথ চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর হরতালের ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু করে কয়েক দফা অবরোধ কর্মসূচি। অবরোধের ৫ম দফার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার বগুড়া শহর জুড়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। গত কয়েক দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার প্রচুর সংখ্যক গাড়ি চলতে দেখা যায়। এছাড়াও সিএনজি-অটোরিকশা চলাচল বেড়েছে। জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে চলছে ছোট ছোট যানবাহন। শহরের মোড়ে-মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ সদস্যরা। সার্বক্ষণিক বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। শহরের মাঝে ছোট যানবাহন, অফিস, আদালত, বিপনী বিতান সবই ছিল স্বাভাবিক। তবে অবরোধ মানছে না সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। জীবন-জীবিকার তাগিদে তারা ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি-অটোরিক্সা চালাচ্ছেন।
এদিন, বগুড়া থেকে ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস। শহরের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে দুই একটি বাস চলাচল করলেও যাত্রী ছিল একেবারে কম। ফাঁকা পড়ে ছিল সড়ক মহাসড়ক। তবে কম সংখ্যক মালবাহী ট্রাক চলাচল করেছে। এদিকে সকাল ৭টায় অবরোধের সমর্থনে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক ২য় বাইপাস সড়ক অবরোধ করে বিএনপি-জামায়াত। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অবরোধকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ৫ দফার দ্বিতীয় দিনে বগুড়ায় সকাল থেকেই সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, পণ্যবাহী পিকআপ চলাচল করছে। এছাড়া শহরের চারমাথা বাস টার্মিনালে প্রায় সব ধরনের বাস বন্ধ দেখা যায়।
শহরের রিক্সা চালাতে আসা সামসুল হক জানান, অবরোধে ঝুঁকির পরও পেটের দায়ে রিক্সা নিয়ে বের হয়েছেন। শহরে যাত্রীও রয়েছেন। আগের চেয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল এবং গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে। ফলে যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে, বগুড়া চারমাথা বাস টার্মিনালের বাস শ্রমিকরা জানান, ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে নওগাঁ সড়কে দু-চারটি বাস চলাচল করছে। অবরোধ আর হরতালের নামে বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর করেছে। এ কারণে মালিকদের ক্ষতি হয়েছে। মালিকরাও ভয়ে বাস নামাতে চাচ্ছেন না। তাই বগুড়া থেকে বাস চলাচল প্রায় বন্ধই বলা চলে।
বগুড়া শহরে সিএনজি অটোরিক্সার চাপে যানজট লেগে যাচ্ছে। তাই যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছিলেন ট্রাফিক পুলিশ। সকাল থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথাসহ অন্যান্য সড়কে গাড়ির যানজট দেখা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত