বাড়ি থেকে প্রেমিকের হাত ধরে চলে যাওয়ার সময় এক তরুণীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই তরুণী বর্তমানে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন। আসামিদের শনাক্তসহ আটকের চেষ্টা করছেন বলে জানান পুলিশ।
বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানায় এ মামলা করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চিরিরবন্দর উপজেলা শহরের তেলীপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বোন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান।
পুলিশ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী সাংবাদিকদের জানায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার সকালে ওই যুবক পঞ্চগড় থেকে চিরিরবন্দরে তাদের বাসায় এসে মা-বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে পরিবার রাজি না হওয়ায় তিনি ওই যুবকের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে চিরিরবন্দর রেলস্টেশনে যান। কিন্তু পঞ্চগড়ে যাওয়ার কোনো ট্রেন না পেয়ে চিরিরবন্দরের ঘুঘরাতলী এলাকায় বটগাছের নিচে বসে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। এসময় স্টেশন থেকে দুজন তাদের পিছু নেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগ হয় মাস্ক পরা আরও তিনজন। তাদের একজন বলেন, তোমাদের পালিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। আমরা তোমাদের বিয়ে দেবো। এ প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা ওই তরুণী ও তার প্রেমিককে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে জোর করে একটা ভ্যানে তুলে মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান তারা। সেখানে ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা যুবকটিকে অন্যত্র আটকে রেখে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে তাকে সেখানে ফেলে রেখে মোবাইল দিয়ে চলে যান তারা। পরে ওই যুবক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
বিডি প্রতিদিন/এএ