‘হয়তো হবে না আর একসাথে পথ চলা’- ফেসবুকে এমন পোস্ট দিয়ে ওষুধ খেয়ে ছাত্রলীগ নেতা হাফিজ আল লিমন (২২) আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে তার মৃতদেহ নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
লিমন উপজেলার সদর ইউনিয়নের সেনের হাওলা গ্রামের আব্দুল জলিল আকনের ছেলে এবং পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। রাজনীতির পাশাপাশি লিমন মোবাইল ব্যাংকিং সেলস অফিসার (ডিএসও) হিসেবে রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, মৃত্যুর আগে শুক্রবার রাতে লিমন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে 'হয়তো হবে না আর একসাথে পথচলা' ক্যাপশন দিয়ে বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে তোলা বেশকিছু ছবি পোস্ট করেন। সেদিন রাতেই তিনি ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী ডিএসও লিমনের কাছে একটি মোবাইল ব্যাংকিং কর্তৃপক্ষের কিচু টাকা পাওনা ছিল। ইতিপূর্বে তার মা কিছু টাকা পরিশোধও করেছিল। বাকি টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি হিসেবে মামার একটি ফাকা চেক অফিসে জমা দিয়ে চাকুরি করছিল লিমন। সেই পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পারার মানসিক চাপে লিমন আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তারপরও মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল