সুন্দরবনে সোমবার (২৯ জানুয়ারী) থেকে শুরু হচ্ছে গোলপাতা আহরণ মৌসুম। চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে দুটি গোলপাতা কূপ থেকে এ মৌসুমে ৭ হাজার মেট্রিক টন গোলপাতা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বন বিভাগ। 

গোলপাতা আহরণ মৌসুমকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই সব ধরণের প্রস্তুতি শেষ করেছে বাওয়ালীরা। রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে বন বিভাগ থেকে পাস-পারমিট নিয়ে গোলপাতা সংগ্রহে সুন্দরবনে রওয়া হবেন বনজীবীরা। 

মোংলার গোলপাতা ব্যবসায়ী লিটন বলেন, বর্তমানে গোলপাতা মানুষের কাছে আগের মতো চাহিদা না থাকায় বিক্রি কমে গেছে। যার কারণে অনেকের আড়তে গতবারের পুরনো গোলপাতা এখনো রয়ে গেছে।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন অফিসার শেখ মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার সকাল থেকে গোলপাতা আহরণকারী বাওয়ালীদের অনুমতিপত্র দেওয়া হবে। রবিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে উপকূলের বাওয়ালীরা গোলপাতা আহরণ সুন্দরবনের প্রবশ করবেন। চাঁদপাই রেঞ্জে দুটি গোলপাতার কূপ রয়েছে। একটি হলো শ্যালা গোলপাতা কূপ অপরটি চাঁদপাই গোলপাতা কূপ। বাওয়ালিরা সুন্দরবনে যাতে নির্বিঘ্নে গোলপাতা কাটতে পারে তার জন্য বনবিভাগ থেকে যেমন নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা, তেমনি এ গোলপাতা আহরণে রয়েছে শর্তও। গোলপাতা আহরণের সময় বনের অন্য কোনো ধরনের গাছপালা কাটা যাবে না। কোনো বাওয়ালী যদি গোলপাতার পাশাপাশি অন্য প্রজাতির গাছ কাটেন কিংবা বনের ক্ষতি করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এবার মৌসুমে প্রতি কুইন্টাল গোলপাতা আহরণে ভ্যাট ব্যতিত রাজস্ব নেওয়া হচ্ছে ৬০টাকা। তবে দিনদিন গোলপাতার ব্যবহার কমে আসায় কূপ থেকে গোলপাতা আহরণের পরিমাণ কমে আসছে। আগে যেখানে ১৫০-২০০ নৌকা ভর্তি গোলপাতা আহরণ হলেও গোলপাতা কম হওয়ায় এবার আহরণও কম হবে বলেও জানান বন বিভাগের এ কর্মকর্তা।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল