২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২১:১০

বিরোধের জেরে সরিষা কাটতে বাধা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

বিরোধের জেরে সরিষা কাটতে বাধা

জয়পুরহাটের কালাইয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অসহায় বৃদ্ধ আফতাব আলীর পাকা সরিষা ক্ষেত কাটতে দিচ্ছে না প্রভাবশালীরা। ফলে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে সরিষা। দখল নিয়ে মারপিটের ঘটনায় উভয় পক্ষের আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। পাকা সরিষা ক্ষেত কাটার জন্য বৃদ্ধ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরলেও কোন সুরাহা না পেয়ে আতঙ্কে জীবনযাবন করছেন।       

 
আজ মঙ্গলবার ওই মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাকা সরিষা গাছ বিবর্ণ রং ধারণ করে ফল ঝরে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। সরিষা ক্ষেত আরও এক সপ্তাহ আগে কাটতে হতো। জমির মালিক বৃদ্ধ আফতাব আলী প্রভাবশালীদের বাধার কারণে ফসল কাটতে পারছেন না। কাটতে গেলেই প্রভাবশালীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে জমিতে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন।   
 
জমির মালিক, প্রতিপক্ষ ও স্থানীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পঞ্চাশ বছরের অধিক সময় ধরে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের বানিহারা গ্রামের মাঠে পাঁচ বিঘা জমি নিজ দখলে রেখে চাষাবাদ করে আসছেন বৃদ্ধ আফতাব আলী মন্ডল। হঠাৎ করে সেই জমি একই গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের, তার ভাই আতাউর রহমান ও আশরাফ মিলে নিজেদের দাবি করেন। তারা ওই জমিগুলোতে বৃদ্ধের ফলানো পাকা সরিষা ক্ষেত কাটতে দিচ্ছেন না। ফলে সরিষা পেকে জমিতেই ঝরে যাচ্ছে। কৃষি কাজে নিয়োজিত শ্রমিক জমিতে ফসল কাটতে গেলেই প্রতিপক্ষরা বাধা দিচ্ছে। বৃদ্ধ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরলেও কোন সুরাহা পাচ্ছে না। এর আগে সরিষা ফলানোর সময় বৃদ্ধের একমাত্র ছেলে আব্দুল আলিমকে প্রভাবশালীরা মারপিটও করেছে। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের দায়ের করা মামলা চলমান রয়েছে।  

বৃদ্ধ আফতাব আলীর অভিযোগ করে বলেন, জমির দলিলপত্র সঠিক থাকার পরও কেন প্রতিপক্ষরা আমাকে এত নির্যাতন করছেন। আর কেনই বা তারা পাকা ক্ষেত কাটতে গেলে বাধা প্রদান করছেন। জমি যদি তাদেরই হয়, তাহলে আদালত রয়েছে। 

প্রভাবশালী আবু তাহের বলেন, আফতাব আলী এই জমিগুলো জোর করে নিজ নামে খতিয়ানভুক্ত করে নিয়েছে। খতিয়ান সংশোধনের মামলাও করেছি। আইনজীবী বলেছে জমিগুলো দখলে নিতে হবে, তাই জমি দখলে নিতে ফসল কাটতে দিচ্ছি না। 

আহম্মেদাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন, আমার পরিষদে এ নিয়ে সালিশও হয়েছে। আফতাব আলীর নামে জমির সব কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। আমি তাদের নিষেধও করেছি। খতিয়ান সংশোধন ও মারপিটের ঘটনায় মামলাও চলমান রয়েছে। আবার নতুন করে এই ঘটনা। 

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারি বলেন, ফসল নষ্টের বিষয়ে মৌখিক ভাবে শুনেছি, তবে এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বিডি প্রতিদিন/এএ  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর