সারা দেশের মতো খাগড়াছড়িতেও প্রচণ্ড গরম পড়েছে। বাধ্য হয়ে লোকজন প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে খুব কম। খেটে খাওয়া লোকজন কাজ করতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ডাবসহ পানি জাতীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। দূর পাহাড়ের গ্রামগুলোতে খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
রোদের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় খাল-বিল-নদী-নালা শুকিয়ে গেছে। বোরো চাষের জমিতে পানি মিলছে না। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন লোকজন। এতে বেশিরভাগ নিউমোনিয়া আক্রান্ত ও ডায়রিয়া রোগী রয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে ১০০ শয্যার বিপরীতে বুধবার পর্যন্ত ১৮১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপেল বাপ্পি চাকমা জানান, হিটস্ট্রোকে কোনো লোক মারা না গেলেও এখানে নিউমোনিয়া রোগীসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। বর্তমানে হাসপাতালে ৩৪ জন ডাক্তারের স্থলে রয়েছে ১৪ জন কনসালটেন্ট ও ১৬ জন মেডিকেল অফিসার। প্রতিদিন আউটডোর-ইনন্ডোরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।এদিকে, হিটস্ট্রোক থেকে বাচঁতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। গরম অনুভূত হলে কী কী করণীয়, সে বিষয়ে বিস্তারিত সেমিনারে তুলে ধরা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই