জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার দুই শত দুগ্ধ খামারি ও কৃষকরা দুশ্চিন্তা এবং হতাশায় ভুগছেন। দুধের দাম কম থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা।
কয়েকজন দুগ্ধ খামারি ও কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, কালাই উপজেলায় প্রতিদিন ৫টি দুধের বাজারে প্রায় ৬০ মণ গাভীর দুধ কেনা-বেচা হয়। একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভূষি, খৈল, ঘাস ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকশান গুনতে হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় লোকশান হয় ২০ টাকা
দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক আবু রায়হান, আনোয়ার, শফিকুল, নয়ন কুমারসহ অনেকে জানান, গোয়ালদের সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।
দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, জামাল, সোহরাব হোসেন লেবুসহ গোয়ালরা জানান, কিছুদিন আগে ঈদুল ফিতরের ঈদের সময় প্রচুর পরিমাণ দই, মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এই কারণে অল্পদিনের জন্য দুধের বাজার কম।
স্থানীয় দুগ্ধ খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুলসহ অনেকে জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয় আনেকেই দুগ্ধবর্তী খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।
কালাই প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার যেন স্বাভাবিক থাকে এজন্য জয়পুরহাট জেলায় অচিরেই দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপিত হবে। যাতে করে দুগ্ধবর্তী খামারি এবং কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত