২০ মে, ২০২৪ ১৮:৩৯

জুড়ীতে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ পরাজিত প্রার্থীর

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

জুড়ীতে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ পরাজিত প্রার্থীর

গত ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য মৌলভীবাজারে জুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সময়ের পরে ৮ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরাজিত প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক। 

সোমবার (২০ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জুড়ী একটি ছোট উপজেলা। নির্বাচনে ৪৪টি কেন্দ্রের কোনোটাই এ রকম দুর্গম নয় যে, পূর্বের দিন ব্যালট পেপার পাঠানো লাগবে। তবুও কারচুপি ও জালিয়াতি করা সহজ হবে এ রকম প্রান্তিক ৭টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের আগের দিন ব্যালট পেপার পাঠানো হয়। সমমান অন্যান্য কেন্দ্রের নির্বাচনের ফলাফলের সাথে এগুলোর বেশ অমিল পাওয়া গিয়েছে। 
এদিন বিকাল ৪টায় কন্ট্রোল রুমের প্রেরণ করা তথ্য অনুযায়ী গড়ে ভোট কাস্টিং হয়েছে ৩৯ শতাংশ। তবে এ ৭টি কেন্দ্রের মধ্যে গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫১.২৯, দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৯.৫৯, এলবিনটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৪.৯৬, রাজকি চা-বাগান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৩.৭৫, ফুলতলা চা-বাগান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫২.২৫ শতাংশ ভোট কাস্টিং দেখানো হয়েছে। এগুলোতে পূর্বের রাতে ব্যালটে সীল মেরে বাক্সভর্তি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের অনেক ভোটারগণ মনে করছেন।

তিনি বলেন, ভোটগ্রহণের সময়ে কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং অফিসারগণ নিয়মানুযায়ী প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর উপজেলা পরিষদে স্থাপিত কন্ট্রোলরুমে মোট কাস্টিংসহ ভোটগ্রহণের তথ্য প্রেরণ করেছেন। নির্ভরযোগ্য সুত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শেষে বিকাল ৪টায় সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় (কন্ট্রোল রুম) থেকে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রেরিত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন প্রতিবেদনে ভোটগ্রহণের শতকরা হার ৩৯ শতাংশ উল্লেখ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফলে প্রায় ৪৭ শতাংশ ভোট কাস্টিং দেখানো হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, অতিরিক্ত ৮ শতাংশ ভোট ঘোষিত জয়ী প্রার্থীর পক্ষে দেখানো হয়েছে।

নির্বাচনে কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র, ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপি ও ভোট জালিয়াতির কারণে তাকে পরাজিত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ৮ মে সন্ধ্যায় কন্ট্রোলরুম থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় বেশ কিছু অমিল ও অনিয়ম দেখার পর আমি সেখানে গিয়ে আপত্তি জানাই এবং ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখতে অনুরোধ করি। তখন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এ বিষয়ে আমাকে রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে আলাপ করতে বলেন। তখনই আমি মৌখিকভাবে ও ইমেইলের মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করলে তিনি আমলে নেননি। জুড়ী উপজেলা নির্বাচনে এ রকম ‘ট্যাকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং' অতীতে হয়নি উল্লেখ করে অবাধ ও সুষ্ঠু একটি পুননির্বাচনের দাবি করেন তিনি।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর