শিরোনাম
- আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
এক আক্কাছে অসহায় সবাই!
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার মেয়র ও বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাছ আলী আর বিতর্ক যেন পায়ে পা মিলিয়ে চলে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই এলাকাবাসীর। দলীয় নেতাকর্মীরাও অসহায় তার কাছে। আগে থেকেই তার নামে মাতলামি, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, বলাৎকার, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও টেন্ডারবাজির মামলা ছিল। এবার দলীয় নেতাকে হত্যার মামলায় পলাতক তিনি।
সবশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় পুলিশ আক্কাছ আলীকে গডফাদার আখ্যায়িত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছিল। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘আক্কাস আলী প্রশাসনিক ও আইনশৃংখলা রক্ষণাবেক্ষণে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করে। সে এলাকার শান্তিপ্রিয় জনসাধারণের মধ্যে ভয়ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি সহ জননিরাপত্তা ও জনশৃঙখলা বিপন্ন করে থাকে। সে একজন অভ্যাসগত মদ্যপায়ী।’
বাঘা থানা পুলিশ জানিয়েছে, আক্কাছের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে থানায় ২২টি মামলা ও ১৭টি সাধারণ ডায়রি আছে। তবে অধিকাংশ মামলা তিনি বাদীকে চাপ প্রয়োগ করে আপোষ করে নিয়েছেন।
বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবির, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী জানান, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাতাল হয়ে একাধিক ঘটনার জন্ম দেওয়া আক্কাছ এবার বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে হত্যা করলেন। তার সঙ্গে মদতদাতা হিসাবে আছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক শীর্ষ নেতা ও একজন এমপি। স্থানীয় এমপি শাহরিয়ার আলম তাদের নাম প্রকাশ্যে বলেছেন। নিহতের ছেলেও আক্কাছসহ মদতদাতাদের নাম বলেছেন।
আক্কাছ আলী ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা জজ আদালতের নাজিরসহ আদালতের ৬ কর্মচারীকে পিটিয়ে আলোচনায় আসেন। মদপান করে বাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজয় মঞ্চে পুরস্কার বিতরণের সময় টলতে-টলতে এক শিক্ষার্থীর গায়ের উপরে পড়ে যান। ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল বাঘা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সোহেল আহাম্মেদকে গালাগালি ও হুমকি দেওয়ায় ঘটনায় থানায় জিডি করেন এসআই সোহেল। তিন নারী কাউন্সিলরসহ ৯ জন কাউন্সিলর পৌর ভবনে মদপান করে মাতলামীর জন্য থানায় তার নামে জিডি করেন। উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের এক গৃহবধুকে মাতাল অবস্থায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ওই গৃহবধুর মা’ বাঘা থানায় মেয়র আক্কাছ আলীর নামে মামলা করেন।
২০২২ সালের ২১ মার্চ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলা চালান আক্কাছ ও তার সমর্থকরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়। এ বছরের ২২ জুন বাঘা উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে হামলা চালিয়ে আহত করেন বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে। ২৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুল মারা যান। এরপর থেকে আক্কাছ আলী পলাতক।
বাঘা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর নামে বিভিন্ন সময়ে থানায় অনেকগুলো মামলা ও জিডি হয়েছে। বাবুল হত্যামামলায় তাকে পুলিশ খুঁজছে।
তবে আক্কাছ আলী পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বাড়িতেও পরিবারের কেউ নেই। তারাও আত্মগোপনে আছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর