কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতের ঘটনার বিচার দাবিতে সোমবার যশোরে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থী ও বিএনপি। এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যশোরের সমন্বয়কারী দাবি করা চার শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীরা বিকেল তিনটায় যশোর শহরের কালেক্টরেট ভবনের প্রধান ফটকে অবস্থান নেবে। এ খবর পেয়ে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে থেকেই ওই স্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়। শহরের প্রায় প্রত্যেকটি মোড়েই ছিল পুলিশের সতর্ক প্রহরা। কালেক্টরেট ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। বিকেল চারটার দিকে শহরতলির ধর্মতলা এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের দিকে আসার চেষ্টা করলে কারবালা এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, বন্দুকের মুখে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়েছে, যা আমরা মানি না। আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথেই থাকবো।
এদিকে বেলা দুইটার সময় যশোর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে চার শিক্ষার্থী কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। নিজেদের সমন্বয়কারী দাবি করে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের যে দাবি ছিল তা পূরণ হওয়ায় কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আর প্রয়োজন নেই। এ চারজন শিক্ষার্থী হলেন পরশ আহমেদ, ফাহিম আহমেদ, ইয়াসির আরাফাত ও মাহফুজ আলী।
এদিকে শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে দুপুর একটার দিকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা বিএনপি। মিছিলটি শহরের ভোলাট্যাংক রোড থেকে বের হলে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বেজপাড়া তালতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ