শেরপুরে সরকার পতনের পর লাখো মানুষ শহরময় ব্যাপক আনন্দ মিছিলের শেষ করে শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এর আগে শহরের বেশ কিছু অফিস ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে এক ফাঁকে শহরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাসাবাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঝটিকা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় কিছু সাধারণ ব্যবসায়ীদের দোকানপাট আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাত ১০টার দিকে কিছু দুর্বৃত্ত লুটপাটের ঘটনা ঘটায়।
এসব দুর্বৃত্তরা ছাত্র বা রাজনৈতিক দলের কেউ না বলে নিশ্চিত করেছেন ব্যবসায়ীরা। এরা একেবারেই অচেনা মানুষজন। লুঙ্গি, হাফপ্যান্ট পড়া এসব মানুষজন বেশ কিছু দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এই অবস্থায় বিএনপি ও আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা শহরের মোড়ে মোড়ে পাহারা বসায়। গভীর রাত পর্যন্ত জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল ও হযরত আলীর নামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শান্তির বার্তা সম্বলিত বিশেষ বার্তা প্রচার করা হয়। রাতেই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঢাকা থেকে শেরপুরে ফিরে নেতাকর্মী নিয়ে শহরে আতঙ্কিত মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করে সাহস জোগান। হামলাকারী দেখলেই ধরে সাধারণ সম্পাদকের কাছে খবর দিতে বলেন। আইন হাতে তুলে না নিতে কঠোর নির্দেশনা দেন।
এর পরই পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়গুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাহারা দিতে দেখা গেছে। দিনের বেলায় শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে গ্রামাঞ্চলে প্রভাবশালী ও অভিযুক্ত আওয়ামী নেতাকর্মীদের বাসায় কোথাও কোথাও ছোটোখাটো ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। গ্রামের ঘটনা প্রশমিত করতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রত্যেক নামাজের শেষে সকল মসজিদের মাইক দিয়ে তারেক রহমানের শান্তির বার্তা প্রচার করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ দুপুরে পুলিশি নির্যাতনে নিঃস্ব হওয়া বিএনপি নেতা হযরত আলী পুলিশ সুপারের বাসায় গিয়ে খোজ খবর নিয়ে ধৈর্য ধারণ করতে অনুরোধ করেন। অচিরেই দেশ শান্ত হবে এবং পুলিশ তার কর্মস্থলে ফিরবে এমন আশ্বস্ত করেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল